watch sexy videos at nza-vids!
SUSPENSE WORLD SUDARSHAN
আমি তখন একটা এনজিওতে চাকরি করি। চাকরি করি না বলে বেগার খাটি বলাই ভাল। কারন কষ্ট যে পরিমান করতে হত বেতন তার ধারে কাছেও ছিল না। কিন্তু অন্য কোথাও চাকরি পাচ্ছিলাম না বলে আমি কষ্টটাই করে যাচ্ছিলাম। সকালে বের হতাম ঋণের টাকা তুলতে,ফিরতাম রাত করে। সম্বল ছিল আমার সাইকেলটা। যে দিনের কথা বলছি সেদিন থানা অফিসে গিয়েছিলাম। সবহিসাব বুঝিয়ে দিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেল। রাত করে এর আগেও ফিরেছি। তাই কোন কিছু না ভেবে রওনা হয়ে গেলাম। সাইকেল চালাচ্ছি আপন মনে। কোন দিকে খেয়াল নাই। ডেওভোগ (কৃষি জমির মধ্যে ঢোকার আগে শেষ গ্রাম) পার হতেই দেখি কোন মানুষের সাড়া শব্দ নেই। বেশ রাত হয়ে গেছে। গ্রামের কারো জেগে থাকার কথা না। একহাতে টর্চ জালিয়ে রাখতে হচ্ছে বলে সাইকেলের গতি অনেক কম ছিল। হিজল গাছটার কাছাকাছি এসে হটাৎ করে কি যেন হল। কোন কিছুর সাথে ধাক্কা খেয়ে আমার সাইকেলেরনিয়ন্ত্রণ হাড়িয়ে ফেললাম। হাত থেকে টর্চটাও পড়ে গেল। সাইকেল থেকে নেমে টর্চ উঠালাম। ঠিকই আছে। নষ্ট হয় নাই। আবার সাইকেলে চড়ে দ্রুত প্যাডেল চালালাম। আশ্চর্য কান্ড। আমি যত জোড়েই প্যাডেল চালাতে থাকি, সাইকেল মেটেও এগুতে চায় না। ভয়ে আমি শেষ।
শরীরের সবটুক শক্তি দিয়ে প্যাডেল মারছি। কিন্তু সাইকেল এগুচ্ছে পিপড়ার গতিতে। আমি ঘেমেএকাকার। কেন জানি মনে হচ্ছে কেউ একজন পিছন থেকে সাইকেল টেনে ধরে আছে। কিন্তু পিছনে তাকানোর মত সাহস আমার নাই। প্রাণপনে সামনে এগুতে চাইছি। হাতে একটা টর্চ আছে সেটাও ভুলে গেছি। আবছা আলোয় রাস্তার যেটুক দেখা যাচ্ছে সেটুক দেখেই রাস্তা ধরে আগাচ্ছি। এক সময় মনে হল জ্ঞান হাড়িয়ে ফেলব।
সাইকেল চালাচ্ছি তো চালাচ্ছি। কতক্ষণ হয়েছে বলতে পারব না। এক সময় মনে হল আমি মনে হয় খালি খালিসাইকেল চালাচ্ছি। কোন লাভ হচ্ছেনা। যেখানে ছিলাম সেখানেই আছি কারন এইটুক রাস্তা সাইকেল যত ধীরেই যাক, পার হতে এত সময় লাগারকথা না। সাথে সাথে মনে পড়ে গেল হিজল গাছ আর কুয়ো নিয়ে শোনা গল্পগুলো। জোড় করেও মন থেকে দুর করে দিতে পারতেছি না। সাইকেল কেউ টেনে ধরে আছে এই বিশ্বাস তখনআমার মনে একেবারে জেঁকে বসেছে। এইবার বাঁচা মরার প্রশ্ন। ভুতেরহাতে কি প্রাণ দেব নাকি? সাহস করে পিছনে তাকালাম। না- কেউ নেই। কেউ টেনে ধরে নাই আমার সাইকেল। টর্চ জ্বালিয়ে পিছনের চাকা পরীক্ষা করলাম। না, কিছুই হয় নাই। আবার সাইকেলে চড়লাম। 'বিসমিল্লাহ্' বলে প্যাডেল চালালাম। কোন লাভ হল না। সাইকেল সেই আগের মতই ভারী। কিছুতেই এগোতে চায় না।
এভাবে কতক্ষন সাইকেলের সাথে যুদ্ধ করলাম বলতে পারব না। তবে প্রাণপন চেষ্টাকরে যাচ্ছি গ্রামের দিকে এগিয়ে যাবার। একটুএকটু করে এগিয়েও যাচ্ছি। গ্রামের সীমানায় প্রথম বাড়িটা দেখা মাত্র সাহস আরো বেড়ে গেল। শরীরের যেটুক শক্তি অবশিষ্ট ছিলতার সবটুক প্রয়োগ করে দ্রুত সেই বাড়ির উঠানে এসে থামলাম। তারপর কোন কথা না বলে সাইকেল থেকে নেমেশরীরের সবটুক শক্তি দিয়ে মারলামসাইকেলের পিছনের চাকায় লাথি। শব্দ শুনে বাড়ির মালিক বের হলেন। আমি পরিচয় দিয়ে জানালাম ভয় পাইছি। তারপর এক গ্লাস পানি খেয়ে রওনা হলাম বাড়ির দিকে। এইবার আমি মহা আশ্চর্য হলাম কারন আমার সাইকেল ঠিক হয়ে গেছে। এখন আর ভারী মনে হচ্ছে না। ঠিক তুফান গতিতে চলছে।

জ্যান্ত ভুতের গল্প
এই কাহিনীর সবকিছু বাস্তব। তাইচরিত্রগুলির নাম দিচ্ছি না।
গল্পের খাতিরে ধরে নিই স্বামীরনাম সুজন, আর স্ত্রীর নাম, বিলক্ষণ, সখী।
আমাদের এই সুজন সাহেবও শিক্ষক।তবে কোন স্কুলের নয়, শখের।
সুজন দম্পতি নিঃসন্তান তাই পরের ছেলেকে ঘরে ডেকে খাইয়ে-দায়য়ে পড়িয়ে আনন্দ পান সুজন।
বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখনই একটা ভুল করে ফেললেন সুজন। নিকাহ করলেন এক বিধবাকে।
ছাত্ররা যারা তখন বেশ তরুন তারা বললো--এটা কি করলেন আপনি?
সুজন হাসিমুখে বললেন--ও তোমরা বুঝবে না, আমার হিসেবে ভুলচুক নাই।
দুই পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাতে গিয়ে সুজন সাহেবের অবস্থা কাহিল। বসত বাড়িটাও বিক্রি করে দিলেন।
ঠাঁই নিলেন পাশের এক পড়ো বাড়িতে।
বাড়িটির আঙিনায় কোন পাঁচিল নাই।
নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে সুজন তাঁর দুই প্রিয় ছাত্রকে তলব করলেন।
ছাত্ররা তখন তরুণ। তাদের উপর পড়ল পাহারার দায়িত্ব।
পাহারা বলতে সুজন মাস্টার স্বপরিবারে ঘুমাবেন কোঠাঘরে। ছাত্রদুটি ঘুমাবে নিচের ঘরে।
সন্ধ্যাবেলা ছাত্ররা হাজির হলেসুজন বললেন--
এই রইল একটা লাঠি, তারসাথে একটাহ্যারিকেন এবং এক বান্ডিল বিড়ি। উপরে আল্লাহ নিচে তোমরা আমি চললাম ঘুমাতে।
ছাত্ররা গুরুর আদেশ মেনে দু-একটা বিড়ি খেয়ে বাকী বিড়িগুলি বালিশের নিচে রেখে শুয়ে পড়তো।
ছাত্ররা যখন গভীর ঘুমে তখন সুজন মাস্টার ডাকাডাকি শুরু করতেন--
তোমরা উপরে এসো একবার। ছাত্ররাচোখ ডলতে-ডলতে হাজির হতো কোঠায়।
দেখতো সখী আর নতুনী দুজনেই কাঁদছেন। তারমানে এক পশলা ছাত্রী-পেটাই হয়ে গেছে।
ছাত্রদের দেখে সুজন মাস্টার বলতেন--
একটা বড় দড়ি নিয়ে এসো।
হুকুম তামিল হতো।
সুজন বললেন--এই যে দেখছো পাশাপাশি দুটো ঘর, তার একটাতে থাকে সখী আর একটাতে থাকে নতুনী। আর আমি থাকি
এই বারান্দায় একটা টপপোরের ভেতরে, ঠিক কিনা?
--জী স্যার।
--এখন তোমরা সখীর ঘর থেকে আমার টপপোরের দুরত্ব মাপো। তারপর নতুনীর ঘর থেকে টপপোরের দুরত্বমাপো।
ছাত্ররা মাপজোক শুরু করলো। শেষও করলো।
সুজন বললেন--কি দেখলে?
--দুটো ঘরেরই দুরত্ব সমান।
--তারমানে কিনা, আমি আমার দুই স্ত্রীকেই সমান ভালবাসি। ঠিক কিনা?
--তা ঠিক।
--তোমরা ছাত্র হয়ে যা বুঝছো ওরাস্ত্রী হয়ে তা বোঝে না কেন?
বলেই সুজনের দুজন স্ত্রীর পিঠেশুরু করলেন ছড়ির প্রহার। আঘাতেজর্জরিত সখী আর নতুনী যখন লাফাচ্ছেন, তখন
সুজন বলে উঠলেন--নাচরে বাঁদর তুড়ুক-তুড়ুক।
সব অশান্তি মিটিয়ে ছাত্ররা যখননিচে ফিরে এল তখন মাঝরাত অতিক্রান্ত।
প্রতিরাতেই চলে ওই ঘটনা-দুর্ঘটনা।
সকাল বেলা ছাত্র দুজন যখন বাড়ি ফেরে তখনও তাদের চোখে ঘুম লেগে থাকে। আরো একটি বিষয়ে তারা অবাক হয়।
সকালে উঠে তারা দেখে বালিশের নিচে একটাও বিড়ি নাই।
প্রতি রাতে বিড়ি গায়েব হয় কি করে, এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলোদুই বন্ধুতে। কোন সমাধান-সুত্রপাওয়া গেল না।
মাঝরাতে সুজন-মাস্টারের নাটক আর ভোররাতে বিড়ি গায়েব, এর মধ্যে নিশ্চয় কোন সমন্ধ আছে?
একদিন ভোরের দিকে একজন ছাত্র বুঝলো তার বালিশের নিচে একটা হাত ঢুকে গেল। ছাত্র তখন জ্বিন ভেবে দোয়া-দরুদ
পড়ছে।
হাতটা বালিশের নিচ থেকে বিড়ির বান্ডিল নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
তখন ছাত্রটি তার পিছু নিলো।
সাদা কাপড় পরা এক ছায়ামুর্তি। যখন বুঝলো কেউ তাকে অনুসরণ করছে তখন সে মাথার খোলা চুল ঝাঁকিয়ে বিকট হেসে
উঠলো।
ভয়ে --ব্যা-ব্যা-ব্যা করে উঠলো ছাত্রটা।
সুজন-মাস্টারের ঘুম ঠিক সেই সময়ে ভেঙেছিল। তিনি ছুটে এসে মারলেন লাঠির বাড়ি সেই ছায়া মানবীর মাথায়। একঘায়ে
ধরাশায়ী।
হ্যারিকেনের আলোয় দেখা গেল, ছায়া-মানবী আর কেউ নয় পাশের বাড়ির রিফাই-বুড়ি।
সেই রাতে তাঁকে সুস্থ করতে আবার ছাত্র-দুজনকে ছুটতে হলো খাটিয়া কাঁধে।
এরপর আর বিড়ি চুরির ঘটনা ঘটেনি।

জ্যান্ত ভুতের গল্প
এই কাহিনীর সবকিছু বাস্তব। তাইচরিত্রগুলির নাম দিচ্ছি না।
গল্পের খাতিরে ধরে নিই স্বামীরনাম সুজন, আর স্ত্রীর নাম, বিলক্ষণ, সখী।
আমাদের এই সুজন সাহেবও শিক্ষক।তবে কোন স্কুলের নয়, শখের।
সুজন দম্পতি নিঃসন্তান তাই পরের ছেলেকে ঘরে ডেকে খাইয়ে-দায়য়ে পড়িয়ে আনন্দ পান সুজন।
বয়স যখন ষাটের কোঠায় তখনই একটা ভুল করে ফেললেন সুজন। নিকাহ করলেন এক বিধবাকে।
ছাত্ররা যারা তখন বেশ তরুন তারা বললো--এটা কি করলেন আপনি?
সুজন হাসিমুখে বললেন--ও তোমরা বুঝবে না, আমার হিসেবে ভুলচুক নাই।
দুই পরিবার নিয়ে সুখে দিন কাটাতে গিয়ে সুজন সাহেবের অবস্থা কাহিল। বসত বাড়িটাও বিক্রি করে দিলেন।
ঠাঁই নিলেন পাশের এক পড়ো বাড়িতে।
বাড়িটির আঙিনায় কোন পাঁচিল নাই।
নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে সুজন তাঁর দুই প্রিয় ছাত্রকে তলব করলেন।
ছাত্ররা তখন তরুণ। তাদের উপর পড়ল পাহারার দায়িত্ব।
পাহারা বলতে সুজন মাস্টার স্বপরিবারে ঘুমাবেন কোঠাঘরে। ছাত্রদুটি ঘুমাবে নিচের ঘরে।
সন্ধ্যাবেলা ছাত্ররা হাজির হলেসুজন বললেন--
এই রইল একটা লাঠি, তারসাথে একটাহ্যারিকেন এবং এক বান্ডিল বিড়ি। উপরে আল্লাহ নিচে তোমরা আমি চললাম ঘুমাতে।
ছাত্ররা গুরুর আদেশ মেনে দু-একটা বিড়ি খেয়ে বাকী বিড়িগুলি বালিশের নিচে রেখে শুয়ে পড়তো।
ছাত্ররা যখন গভীর ঘুমে তখন সুজন মাস্টার ডাকাডাকি শুরু করতেন--
তোমরা উপরে এসো একবার। ছাত্ররাচোখ ডলতে-ডলতে হাজির হতো কোঠায়।
দেখতো সখী আর নতুনী দুজনেই কাঁদছেন। তারমানে এক পশলা ছাত্রী-পেটাই হয়ে গেছে।
ছাত্রদের দেখে সুজন মাস্টার বলতেন--
একটা বড় দড়ি নিয়ে এসো।
হুকুম তামিল হতো।
সুজন বললেন--এই যে দেখছো পাশাপাশি দুটো ঘর, তার একটাতে থাকে সখী আর একটাতে থাকে নতুনী। আর আমি থাকি
এই বারান্দায় একটা টপপোরের ভেতরে, ঠিক কিনা?
--জী স্যার।
--এখন তোমরা সখীর ঘর থেকে আমার টপপোরের দুরত্ব মাপো। তারপর নতুনীর ঘর থেকে টপপোরের দুরত্বমাপো।
ছাত্ররা মাপজোক শুরু করলো। শেষও করলো।
সুজন বললেন--কি দেখলে?
--দুটো ঘরেরই দুরত্ব সমান।
--তারমানে কিনা, আমি আমার দুই স্ত্রীকেই সমান ভালবাসি। ঠিক কিনা?
--তা ঠিক।
--তোমরা ছাত্র হয়ে যা বুঝছো ওরাস্ত্রী হয়ে তা বোঝে না কেন?
বলেই সুজনের দুজন স্ত্রীর পিঠেশুরু করলেন ছড়ির প্রহার। আঘাতেজর্জরিত সখী আর নতুনী যখন লাফাচ্ছেন, তখন
সুজন বলে উঠলেন--নাচরে বাঁদর তুড়ুক-তুড়ুক।
সব অশান্তি মিটিয়ে ছাত্ররা যখননিচে ফিরে এল তখন মাঝরাত অতিক্রান্ত।
প্রতিরাতেই চলে ওই ঘটনা-দুর্ঘটনা।
সকাল বেলা ছাত্র দুজন যখন বাড়ি ফেরে তখনও তাদের চোখে ঘুম লেগে থাকে। আরো একটি বিষয়ে তারা অবাক হয়।
সকালে উঠে তারা দেখে বালিশের নিচে একটাও বিড়ি নাই।
প্রতি রাতে বিড়ি গায়েব হয় কি করে, এই নিয়ে বিস্তর আলোচনা হলোদুই বন্ধুতে। কোন সমাধান-সুত্রপাওয়া গেল না।
মাঝরাতে সুজন-মাস্টারের নাটক আর ভোররাতে বিড়ি গায়েব, এর মধ্যে নিশ্চয় কোন সমন্ধ আছে?
একদিন ভোরের দিকে একজন ছাত্র বুঝলো তার বালিশের নিচে একটা হাত ঢুকে গেল। ছাত্র তখন জ্বিন ভেবে দোয়া-দরুদ
পড়ছে।
হাতটা বালিশের নিচ থেকে বিড়ির বান্ডিল নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
তখন ছাত্রটি তার পিছু নিলো।
সাদা কাপড় পরা এক ছায়ামুর্তি। যখন বুঝলো কেউ তাকে অনুসরণ করছে তখন সে মাথার খোলা চুল ঝাঁকিয়ে বিকট হেসে
উঠলো।
ভয়ে --ব্যা-ব্যা-ব্যা করে উঠলো ছাত্রটা।
সুজন-মাস্টারের ঘুম ঠিক সেই সময়ে ভেঙেছিল। তিনি ছুটে এসে মারলেন লাঠির বাড়ি সেই ছায়া মানবীর মাথায়। একঘায়ে
ধরাশায়ী।
হ্যারিকেনের আলোয় দেখা গেল, ছায়া-মানবী আর কেউ নয় পাশের বাড়ির রিফাই-বুড়ি।
সেই রাতে তাঁকে সুস্থ করতে আবার ছাত্র-দুজনকে ছুটতে হলো খাটিয়া কাঁধে।
এরপর আর বিড়ি চুরির ঘটনা ঘটেনি।

এক লোক রাতের অন্ধকারে একা জঙ্গলের পথ ধরে বাড়ি ফিরছিল। হাতে টিমটিম করে জ্বলা হারিকেন। চলতে চলতে হঠাত্ সে লক্ষ্য করলো - হারিকেনের আলো পড়ে রাস্তার পাশে কি যেন ঝিলিক দিয়ে উঠলো। কৌতুহলী হয়ে লোকটা এগিয়ে গেল সেই দিকে। গিয়ে দেখল এক তরুনী মেয়ের লাশ পড়ে আছে। সেভয় পেলেও ঠিকই দেখলো মেয়েটির ডান হাতের মধ্যম আঙুলে একটি হীরার আঙটি জ্বল জ্বল করছে। একটু ইতস্তত করে সে হারিকেনটা পাশে নামিয়ে রেখে লাশের আঙুল থেকে আঙটিটা খোলার চেষ্টা করলো। কিন্তু আঙুল ফুলে ওঠায় কিছুতেই ওটা খুললো না। লোকটা তখন তার পকেট থেকে একটি ছুড়ি বের করলো। তারপর সেই ছুড়ি দিয়ে পুচিয়ে পুচিয়ে লাশের আঙুলটা কেটে ফেলল। ঠিক তখনই রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে কাছাকছি কোথাওএকটা শেয়াল ডেকে উঠলো। লোকটা প্রচন্ড ভয় পেয়ে ঐ আঙুল সহ আঙটিপকেটে পুরে ছোটা শুরু করলো। এক ছুটে বাড়িতে এসে কাউকে কিছু না বলে সে ঐ রাতেই চুপে চুপে আঙুল থেকে আঙটি ছাড়ালো। তারপর আঙটিটা লুকিয়ে রেখে আঙুলটা পুঁতে ফেলল মাটিতে।
এরপর অনেক দিন কেটে গেছে। লোকটা সেই মেয়েটির কথা প্রায় ভুলে গেছে। এক অমাবস্যা রাতে সে তখন বাড়িতে একা। চারিদিকে শুনশান নিরবতা। হঠাত্ বাইরে দরজার কড়া নড়ে উঠলো - খট্ খট্ খট্ খট্। সে একটু বিরক্তি নিয়ে গিয়ে দরজা খুললো। দেখলো দরজার সামনে শাদা শাড়ি পড়ে এক তরুনী দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় ঘোমটা দেয়াথাকলেও তাতে তার রূপ ঢাকা পড়ছে না এতটুকু। লোকটা গদ গদ হয়ে প্রশ্ন করলো - কি ব্যাপার ? কাকে চান? তরুনী কেমন খসখসে গলায় বলল - ভাই আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। যাবো আপনাদের পাশের গ্রামে। কিন্তু এত রাতে অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলেছি। এদিকে প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। আমাকে যদি আজ রাতে একটু আশ্রয় দিতেন, একটু খাবার দিতেন!
লোকটা যেন এমন সুযোগের অপেক্ষাতেই ছিল। বাড়িতে সে একাতায় আবার এমন সুন্দরী মেয়ে। সে বলল - আসুন আসুন, কোন চিন্তা নেই। সব ব্যবস্থা হবে। সে মেয়েটিকে বসতে দিয়ে খাবার নিয়েএল। মেয়েটি খাবারের থালা টেনে নিয়ে খাবার মাখাতে লাগলো। লোকটা তখন লোভাতুর চোখে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে। হঠাত্ সে চমকে উঠলো। দেখলো মেয়েটি যে হাত দিয়ে খাবার মাখাচ্ছে সে হাতে চারটি আঙুল। মধ্যমা আঙুলটা যেখানে থাকার কথা সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। লোকটির আত্মা কেঁপে উঠলো। সে ভয় পাওয়া গলায় জানতে চাইলো - আ..আপনার হাতের আঙুলের কি হয়েছে!?

Home
©Sudarshan